লিঙ্কনের চিঠি (উৎসাহ মূলক জীবনী যা আপনাকে জীবন গঠনে উৎসাহ জোগাবে):
আসসালামুআলাইকুম ।
প্রথমেই বলি ভুল হলে ক্ষমা করবেন ।
প্রথমেই বলি ভুল হলে ক্ষমা করবেন ।
পৃথিবী,আজ আমার ছেলে প্রথম স্কুলে যাচ্ছে:
হে পৃথিবী, আমার সন্তানের হাতধর, সে আজ তার স্কুলের পাঠ শুরু করল। কিছুদিন তার কাছে সব নতুন ও বিস্ময়কর মনে হবে, আমার আশা তুমি তার সাথে সদয় ব্যবহার করবে। দেশ এ পর্যন্ত সে কাটিয়েছে এই বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যেই, মুরগীর ঘর গুলিতে ছিল তার আধিপত্য, বাড়ির পেছনের বাগানের সে ছিল মালিক। তার ক্ষতে ওষুধ লাগাতে আমি সব সময়ই কাছে ছিলাম এবং যখন সে মনে আঘাত পেয়েছে, আমি তাকে সান্তনা দিয়েছি।
কিন্তু এখন অবস্থা অন্য রকম হবে। আজ সকালেই বাড়ির সিঁড়ি দিয়ে নেমে গিয়ে পিছন ফিরে হাত নাড়বে, তারপর শুরু হবে সে মহৎ অভিযান, যা তাকে নিয়ে যাবে অনেক যুদ্ধ, বিচ্ছেদ এবং দু:খের মধ্য দিয়ে।
পৃথিবীতে বাঁচতে হলে বিশ্বাস ভালবাসা ও সাহসের প্রয়োজন। সুতরাং হে পৃথিবী আমার বাসনা তুমি তার তরুণ হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে চল এবং জীবনে যা শেখার প্রয়োজন তা তাকে শিখিয়ে দাও কিন্তু যদি পার সহৃয়তার সাথে শিখিয়ো।
আমি জানি, ওকে জানতে হবে যে সব মানুষ ন্যায়পরায়ণ নয়, সব নারী পুরুষই সৎ নয়। তাকে শিখিয়ে দিও সংসারে দুর্বৃত্ত যেমন আছে বিরচিত গুনাবলীর মানুষও আছে; শত্রু যেমন আছে মিত্র ও তেমনি আছে। প্রথমেই তাকে শিখিয়ো উৎপীড়নকারীরা সহজেই পদানত হয়।
বইয়ের পাতায় যে অত্যাশ্বর্য ভান্ডার ভান্ডার আছে তা তাকে ছিনিয়ে দিও। ওকে কিছু নির্জনতা দিও, যখন ও আকাশে পাখির ওড়া , সূর্যের আলোয় মৌমাছিদের ঘোরাফেরা কিংবা সবুজ পাহাড়ে ফুলের সমারোহ দেখে ভাবতে পারবে। ওকে শিখিয়ো অসৎ উপায় অবলম্বনের ছেয়ে অসফল হওয়া অনেক সম্মানজনক। ওকে শিক্ষা দিও, যদি অন্য সকলে বলে যে ওর ধারণাগুলি ভুল তবুও যেন সে নিজের বিশ্বাসে অটল থাকে। আমার ছেলেকে শক্তি দিও, অন্য সকলে যখন ঠেলাঠেলি করে কোন প্রত্যাশার গাড়িতে উঠে , তখন ও যেন জনতাকে অনুসরন না করে। শিক্ষা দিও যেন অন্যের কথা শুনে, কিন্তু যা শুনে তা যেন সত্যের ছাঁকনী দিয়ে ছেকে যে সার টুকু থাকে তা গ্রহন করে ।
শিক্ষা দিও যেন কখনও নিজের হৃদয় ও আত্নাকে বিক্রয়যোগ্য না করে। শিক্ষা দিও যে উচ্ছৃঙ্গল জনতার চিৎকারে কান না দিয়ে নিজে যা সঠিক মনে করে তার জন্য লড়াই করে।
সহৃদয়ভাবে শিক্ষা দিও পৃথিবী কিন্তু অধিক প্রশ্রয় দিও না, কারণ আগুনের মধ্য দিয়ে গেলেই খাটি ইস্পাত হওয়া যায়। এটি খুবই দীর্ঘ প্রত্যাশা, কিন্তু দেখ কতটা করা যায়। ও এত ভাল ছেলে।
Reference :
No comments:
Post a Comment